ফরিদপুরের মধুখালীর ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লীতে গত ১৮ এপ্রিল মন্দিরে অগ্নিকাণ্ড হয়। এ ঘটনার জেরে পাশের একটি স্কুলে থাকা বেশ কয়েকজন নির্মাণশ্রমিকের ওপর হামলা হয়। এতে প্রাণ হারান দুই সহোদর ভাই। এ ঘটনায় তিন মামলায় ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে পলাতক রয়েছেন চেয়ারম্যান ও মেম্বার।
আজ মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম।
ঘটনা পর গ্রেপ্তার হওয়া চারজনকে আদালতে সোপর্দ করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাঁরা হলেন—পঞ্চপল্লীর কৃষ্ণনগর গ্রামের উজ্জল কুমার বিশ্বাস (৪১), কামারখালী বাজার এলাকার বিনয় সাহা (৬০), জাননগর গ্রামের গোবিন্দ সরকার (২৮) ও অনয় ভাদুরী (১৯)। এদের মধ্যে উজ্জল কুমার বিশ্বাস ও বিনয় সাহা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
আজ মঙ্গলবার বাকি ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা হলেন—রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির আকশুকনা গ্রামের উজ্জল কুমার মিত্র (৩৩) ও পুষআমলা গ্রামের বিশ্বজিৎ মল্লিক (৫২), সাধুখালী গ্রামের কনক বিশ্বাস (২৭), মাগুরার শ্রীপুর থানার মদনপুর গ্রামের প্রসেনজিৎ সরকার (৫২), বড়ালীদহ গ্রামের সুজয় বিশ্বাস (১৬), মধুখালীর জিনিসনগর গ্রামের তপন কুমার মন্ডল (৪০), তারাপুর গ্রামের অনুপ রায় (৩১) ও টুটুল চন্দ্র মন্ডল (৩০)। এদের ১৬৪ ধারায় নাম উঠে এসেছে এবং ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করা হয়েছে এবং আগামীকাল বুধবার আদালতে প্রেরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম বলেন, গ্রেপ্তার আসামিদের অপরাধের ধরন অনুযায়ী আলাদা আলাদা মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় ভিডিও ফুটেজ দেখে অনেককে শনাক্ত করা হয়েছে। তারা আমাদের নজরদারিতে রয়েছে। এর মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করাও হয়েছে। বাকিদের অল্প সময়ের মধ্যে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। সুতরাং, এ মামলায় মানুষের উত্তেজিত হওয়ার কোনো বিষয় নেই।
গতকাল (২৩ এপ্রিল ২০২৪) এ তথ্য জানান ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মোর্শেদ আলম।