প্রিয় শখের পুরুষ, তুমি করো তোমার বিয়ে। অনেক ভালোবেসেছ এবং অতিরিক্ত যন্ত্রণাও দিয়েছ। আমি পারছি না এত যন্ত্রণা নিতে। বাকি জীবনটা সুন্দর করে উপভোগ করতে পারলাম না। ভালো থেকো। আজকের দিনেও তোমার যন্ত্রণা নিতে পারছি না। আমার পরিবার থেকে যে যৌতুকের টাকা তোমাদের দিয়েছে, সেগুলো শোধ করে দিও। তুমি আমাকে বাঁচতে দিলে না।
ওই চিরকুটে রীমা আরও লেখেন, আমি বাঁচতে পারতাম যদি আমি বেশি মানসম্মানওয়ালা পরিবারের জন্মগ্রহণ না করতাম। সবাই আমাকে ক্ষমা করে দিও। আর আমার পোস্টমর্টেম করিয়ে আমার সব যন্ত্রণা ধুয়ে মুছে আমাকে কবরে পাঠিও। আর আমার পরিবারকে বলছি, মোরশেদকে তোমরা ছাড়বা না। ওকে ওর প্রাপ্য শাস্তি তোমরা দেবা।
২৭ জুন বৃহস্পতিবার হবু স্বামীর উদ্দেশ্যে এমনই চিরকুট লিখে আত্বহত্যা করে রীমা নামের ওই তরুণী । তিনি চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় হাইদগাঁও এলাকার হীরা তালুকদার বাড়ির বাচা মিয়ার মেয়ে।
জানা গেছে ওই তরুণী আর মিজানুর রহমান নামে এক যুবকের সঙ্গে রীমার দীর্ঘ দিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মিজানুর রহমান আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে কর্মরত আছেন।
দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক থাকার পরে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হতে যাচ্ছিলো এই তরুন তরুণীর। কিন্তু প্রেমের সম্পর্ক থাকা সত্বেও যৌতুক হিসেবে ফুলসেট ফার্নিচার, টিভি, ফ্রিজ এবং বিয়ের খরচ হিসেবে নগদ টাকা দাবি করে মিজানুর ও তার পরিবার। এতেই রীমা অপমানিত বোধ হয়ে রাগে আত্মহত্যা করে।