ফরিদপুরে ব্যানার ছিড়ার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানালেন জিয়ায়ুল হাসান মিঠু।
বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত ফরিদপুর।বাংলাদেশের রাজনীতিতে বরাবরই ফরিদপুর নানা কারনে থাকে আলোচনায়।এবারও ফরিদপুর আলোচনায়,তবে যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় তার সমালোচনা-ই বেশি হচ্ছে।
ফরিদপুর জেলার সদর উপজেলাটি জেলার ৪টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ১টি(৩নং)।জেলার প্রানকেন্দ্র হিসেবে এই ৩ং আসনের ফরিদপুর শহরে নেতৃত্বস্হানীয় নেতাও বেশি।চলছে শোকের মাস।১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি,বাঙালি জাতির স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ঘাতকেরা নির্মমভাবে স্বপরিবারে হত্যা করে।
১৫ ই আগষ্ট শোক দিবস উপলক্ষে সারাদেশ যেখানে শোকে শোকাহত,সেখানে ফরিদপুরে চলছে বঙ্গবন্ধুর ছবিসহ ব্যানার ছেড়ার ধূম।
গত পরশু দিন(মঙ্গলবার) ফরিদপুরে ১৫ আগষ্টের জন্য তৈরী তোরণ থেকে ব্যানার ছিড়ে ফেলা হলো।তোরণটি নির্মিত হয়েছিল ফরিদপুর শহরের প্রানকেন্দ্র জনতা ব্যাংকের আগে হাসিবুল হাসান লাবলু সড়কের মাথায় নির্মিত তোরণ থেকে দুর্বৃত্তরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ছবি সম্মিলিত ব্যানারও ছিড়তে কন্ঠাবোধ করেন নি।গতকাল ও ব্যানার ছিড়েছে বিভিন্ন জায়গায়।আজ দেখা গেল সুপার মার্কেট,আলিপুর, ঝিলটুলিসহ বেশ কয়েক জায়গার ব্যানার ছিড়ে ফেলেছে।
ফরিদপুরে চলছে সর্বস্তরে নিন্দা ও প্রতিবাদ।ঘৃনিত এ কাজে নেতারাও পড়েছে অস্বস্তিকর অবস্থায়।ব্যানার কান্ডে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহার প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন,বিষয়টি অত্যন্ত হৃদয়বিদারক।শোকের মাসে এরকম ঘৃনিত কাজের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানোর ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না।বিষয়টি সাথে সাথেই প্রশাসনকে জানিয়েছি দোষীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার জন্য এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাসুদের সাথেও কথা বলেছি দলীয় ফোরামে আলোচনায় বসবো।এ বিষয়ে ফরিদপুর জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক জনাব জিয়াউল হাসান মিঠুর কাছে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন,বিষয়টি সত্যিই দুঃখজনক এবং লজ্জার। বিরোধী শাসনামলে ও বঙ্গবন্ধুর ছবি সম্মিলিত ব্যানার ছিড়ে ফেলার মত দুঃসাহস কেউ দেখায়নি।বিষয়টি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কে জানানোর পাশাপাশি সুযোগ্য জেলা প্রশাসক ও এসপি মহোদয়কে অবগত করেছি যে,অপরাধি যেই হোক না কেন তাকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে।তিনি আরো বলেন এ ন্যাক্কারজনক কাজের সাথে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি জড়িত।যারা ৬৪ জেলায় সিরিজ বোমা হামলা চালিয়েছিল,২১ আগষ্টের গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল সেই বিএনপি-জামায়াতের পেতাত্বারা জড়িত।সেই সাথে তিনি বিএনপি-জামায়াতের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন,দুর্বল চিত্তের মানুষের মত রাতের অন্ধকারে ব্যানার ফেস্টুন না ছিড়ে,রাজনীতির মাঠে এসো বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ ফরিদপুর জেলা শাখা রাজনৈতিক ভাবেই তাঁর দাঁত ভাঙা জবাব দিয়ে দিবে ইনশআল্লাহ।