মোঃ মিজানুর রহমান বিশ্বাস টুটুল ফরিদপুর শহরতলীর ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের সন্তান।
১৯৯০ সালে শিবরামপুর আর ডি একাডেমি স্কুলে পড়া অবস্থায় কলেজের বড় ভাইদের সাথে রাজপথে থেকেছে সৈরাচারী পতন আন্দোলনে!
১৯৯২ সরকারী ইয়াছিন কলেজে ভর্তি হন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবীত হয়ে দেশরত্ন শেখ হাসিনা, ফরিদপুরের সাবেক এমপি ইমাম উদ্দিন আহমেদ, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাসিবুল হাসন লাবলু , সাবেক জেলা আওয়ামীলীগ , যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতাদের হাত ধরে মিছিল মিটিংয়ে সাহসী ভুমিকা পালন করে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে থাকেন কলেজ ছাত্র টুটুল বিশ্বাস। ফলে ১৯৯৩ সালে সরকারি ইয়াছিন কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে ছাত্র মিলনায়তন সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন এবং জয় লাভ করেন। ছাত্রলীগের ওই দুর্দিনে আরিফ- মুরাদ- সাগর পরিষদের একমাত্র সম্পাদক হিসাবে টুটুল বিশ্বাস নির্বাচিত হন। উক্ত প্যানেলে ভিপি আরিফ হোসেন, এজিএস সাগর ও টুটুল বিশ্বাস ছাড়া ছাত্রলীগের সবাই পরাজিত হয়েছিলো। পরবর্তীতে ১৯৯৫ সালে ফরিদপুর সদর থানা ছাত্রলীগের কমিটিতে ১নং সহ-সভাপতি নির্বাচিত করা হয় টুটুল বিশ্বাসকে।
১৯৯৮ সালে ফরিদপুর সদর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ আলতাব হোসেন আওয়ামী রাজনীতির রাজনীতি ছেড়ে বিএনপিতে যোগ দিয়ে চলে গেলে টুটুল বিশ্বাস থানা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি’র দায়িত্ব পান। ছাত্রলীগ করায় দায়ে বিএনপি জামাত জোট সরকার ভিপি আরিফ , এজিএস সাগর, টুটুল বিশ্বাসের নামে মিথ্যা মামলা করেছিলো ১৯৯৪ সালে! ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলেও তখনও প্রতিনিয়ত বিএনপি জামাতের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম করতে হয়েছে টুটুল বিশ্বাসের মতো কর্মীদের। এভাবে দেখতে দেখতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা হয়ে যান তিনি। বহু চড়াই উৎরাই পার হয়ে ২০০৮ যখন আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে পদায়ন হয়ে কাজ করে যাবার ইচ্ছে পোষণ করেছিলেন, ঠিক তখনই হঠাৎ দলে ঢুকে মোশাররফ পন্থি আওয়ামীলীগারদের চাপে পরতে হয় তাকে! নীতি ও আদর্শ ধরে রেখে দল করার ইচ্ছার মাসুল তাকে দিতে হয় ২০০৮ সাল থেকে ফরিদপুরে শুদ্ধি অভিযানের পূর্ব পর্যন্ত ৩ টা মিথ্যা মামলা ও নানা ধরনের নিপিড়ন সহ্য করে! তবুও দুঃখ নেই টুটুল বিশ্বাসের। মনের কষ্ট মনে নিয়ে দুঃসময়ে ছাত্রলীগ করা এই ছাত্রনেতা মাথা নিচু করে নিজের ইচ্ছায় কাজ করে যান রাজনীতির মাঠে, আওয়ামী লীগের জন্য, শেখ হাসিনার জন্য, নৌকার জন্য! নিজেকে আজীবন আওয়ামী কর্মী ঘোষণা করা এই ত্যাগী কর্মী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “ভাই ছোটবেলা থেকে আওয়ামী লীগ করে আসছি, ছাত্রলীগ করছি দুঃসময়ে, যখন ভাবছি যুবলীগ টা করবো কিন্তু নীতি বিসর্জন দিয়ে করতে হবে কেন? কার পিছনে করবো যারা কোনদিন জয় বাংলা বলে নাই তাদের কথা মতো আওয়ামী লীগ চলবে কেন? আমাদের নেতারা কই? এমন ভাবনায় আর পদ পাওয়া হয়নি তার!
তারপরও আওয়ামীলীগের যে কোন লড়াই সংগ্রাম দলীয় নির্বাচন, কলেজ নির্বাচন, ইউনিয়ন, উপজেলা, সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছি আওয়ামী লীগকে ভালোবাসি তাই। মিথ্যা মামলা হামলা আর হয়রানি ছাড়া বিগত দিনে কিছুই পাই নাই লুটেরাদের থেকে।
আজীবন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ধারক ও বাহক হিসেবে থেকেছি এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শে মৃত্যু হোক এই প্রত্যাশা করি।
ফরিদপুরে আওয়ামীলীগ পরিবাবের ১২ বছরের যে কালো অধ্যায় জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশব্যাপী শুদ্ধি অভিযানে আজ ফরিদপুর আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠন আলোর পথে চলতে শুরু করেছে, তাইতো বয়সের বিবচেনা এবং দীর্ঘদিন আওয়ামীলীগের সুখ-দুখে পাশে থাকা টুটুল বিশ্বাস ফরিদপুর জেলা যুবলীগ বা কোতয়ালী থানা যুবলীগ একজন কর্মী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন, তবে কোন পদ প্রত্যাশা নেই তার। তার মতে নেতারা আমাকে যেখানে যোগ্য মনে করবেন দিবেন তাতে আমার কোন চাহিদা নেই। ‘আর কোনদিন কোন পদ নিয়ে আওয়ামী লীগ করতে পারবো কিনা’ সেই ধুয়াশা যখন কেটে গেছে, আলো আসবেই ফরিদপুর আওয়ামী লীগে ইনশাআল্লাহ।। আবারও শক্তিশালী হবে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ এমনটিই আশা করছেন সাবেক ছাত্রলীগের এই নেতা মোঃ মিজানুর রহমান বিশ্বাস টুটুল বর্তমানে সদস্য কোতয়ালী থানা যুবলীগ, যুগ্ম আহবায়ক বঙ্গবন্ধু ফ্যান্স ক্লাব ফরিদপুর জেলা ইউনিট, আহ্বায়ক, মানবতার তরী ফরিদপুর।
মানবিক যুবলীগ ফরিদপুর কোতয়ালীর ইউনিয়ন নেতা কর্মীদের আশা কোতয়ালী যুবলীগের দায়িত্বে দেখতে চাই । বর্তমানে ফরিদপুর জেলা যুবলীগের যে কোন কর্মসূচিতে টুটুল বিশ্বাস এর অবদান অপরিসীম তাই ফরিদপুর কোতয়ালী থানা যুবলীগের বর্তমানে কোন কমিটি না থাকায় আগামী কমিটিতে মোঃ মিজানুর রহমান বিশ্বাস টুটুল কে কোতয়ালী থানা যুবলীগের সভাপতি/ আহবায়ক হিসেবে দেখতে চাই।
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বলেন শুদ্ধি অভিযানের পর গত ১২ মে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দানবীর শামীম হক, সাধারণ সম্পাদক শাহ মোঃ ইসতিয়াক আরিফ এর নেতৃত্বে ফরিদপুর জেলার কোতয়ালী আওয়ামী লীগ নতুন করে প্রাণ খুঁজে পেয়েছেন আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন তফসিল ঘোষণা করায় আগামী ১৬ মার্চ ২০২৩ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে ২৪শে জানুয়ারি রাজনৈতিক জীবন বৃত্তান্ত জমা নিয়েছি যদি আমাকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার মনোনয়ন বোর্ড ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দানবীর শামীম হক সাধারণ সম্পাদক সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শাহ মোঃ ইসতিয়াক আরিফ, কোতয়ালী আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক সামছুল আলম চৌধুরী সহ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ নৌকা প্রতীক দিয়ে নির্বাচন করার সুযোগ দেন তবে আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সামনে রেখে বিপুল সংখ্যক ভোটে নির্বাচিত হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কে উপহার দিতে পারব বলে আশা করি।