ফেব্রুয়ারির ভোটের বিষয়ে অফিসিয়ালি কোনো কিছু না পাওয়ায় মন্তব্য করতে রাজি না হয়ে এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, ফেব্রুয়ারিতে হোক বা এপ্রিলে হোক- জাতীয় নির্বাচন যখনই হোক, আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। আগে আমাদের বলা হয়েছিল ডিসেম্বর থেকে জুন, আমরা সে টাইম স্পেন মাথায় রেখে প্রস্তুতি নিচ্ছি ও এগিয়ে যাচ্ছি। এখন আমাদের ধ্যানধারণা শয়নে-স্বপনে নিজেদের প্রস্তুতি।
সিইসি বলেন, এতদিন তো সরকারই আলোচনা করেছে, আমরা করিনি। উনাদের পজিশনটা আমাদের বুঝতে হবে। বোঝার পরে যেদিন তারিখ ঠিক হবে, অ্যারাউন্ড দুই মাস আগে তফসিল ঘোষণা হবে। ঐতিহাসিকভাবে তা-ই, ৫৫ থেকে ৬০ দিন আগে তফসিল ঘোষণা করবো।
ফেব্রুয়ারি বা এপ্রিলের যে সময়েই নির্বাচন হোক না কেন প্রস্তুত রয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে তফসিল ঘোষণার সময় ভোটার তালিকা তৈরি থাকতে হবে। যেদিন ইলেকশন ডেট হয় তার মাস দুয়েক আগে তফসিল হয়। মানে ৫০-৬০ দিন আগে হবে। তবে ভোটের আট-দশ মাস আগে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ এ মুহূর্তে ঘোষণা সম্ভব নয়। ছয় মাস-আট মাস আগে ওই তারিখে নির্বাচন হবে—এটা বলার বিধান আরপিও তে নেই। তফসিল ঘোষণার বিধান বলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
আমরা এখনো প্রস্তুতির বাইরে কিছু চিন্তা করছি না দাবি করে সিইসি বলেন, নির্বাচনের তারিখ নিয়ে, অমুক দিন অমুক তারিখ ইলেকশন হবে এ মুহূর্তে আমি এমন ঘোষণা দিতে পারবো না। সরকারের কাছ থেকে যদি ধারণা পাই তাহলে সে অনুযায়ী ইলেকশন ডেলিভার করার জন্য প্রস্তুত আছি এবং প্রস্তুতি নিচ্ছি।